মূল বিষয়ে যান

আফসোসের অন্নপূর্ণা

·7 মিনিট
মম কথন পরবাস পাহাড়ি

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। সে পুনরাবৃত্তি হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়া স্মৃতিগুলোকে পুনরায় ঘষে মেজে সামনে নিয়ে আসে, প্রতিবিম্বিত হয় ধূসর অতীত৷ সারা পৃথিবীর মত আমিও কভিড-১৯ এর ভয়ে রোগ-অন্তরন বা কোয়ারান্টাইনে অলস সময় পার করছি। মনে পড়ে ২০১৬ সালের মাঝের দিকের কথা। রোগ-অন্তিকরনের জন্য না হলেও কোন এক বিশেষ কারণ সে সময় প্রায় একমাসের সেমিস্টার ব্রেকে স্ব-অন্তরনে ছিলাম। ওই সময়টা জীবনের একটা চরম বাঁক বা সন্ধিক্ষণ বলে মেনে নিতেই হয়। বইয়ের পোকাটা মাথায় ঢোকার পাশাপাশি তখনই আমার প্রথম পরিচয় ঘটে পর্বতের সাথে। তাও যে সে পর্বত নয়, স্বয়ং অন্নপূর্ণা ম্যাসিভ।

ইউটিউবে কোন এক ডকুমেন্টারি দেখছিলাম। সেখানে কিছু পর্বতারোহী দুইহাতে আইস-অ্যাক্স আর কোমড়ে দড়ি বেঁধে হাঁচড়ে-পাঁচড়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করছে। নাকে-মুখে তুষার জমে আছে। হঠাৎই একজনের নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করলো। কেন জানিনা সে সময় ঐ দৃশ্যটা বেশ বীভৎস মনে হয়েছিলো। প্রশ্ন জেগেছিলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন এমন ভয়ংকর ক্রীড়াচর্চা করছে? শুধুই কি চিত্ত বিনোদন? তার জন্য তো আরও কত-শত উপায় রয়েছে। যদিও অনেক পরে উপলব্ধি হয়েছিলো এটা পর্বত দর্শন নয়, পর্বতের দর্শন৷

পুরো তথ্যচিত্র জুড়ে বিভিন্ন কোণ থেকে দেখা তুষার মোড়া অন্নপূর্ণা মনে এতোটাই দাগ কেটেছিলো যে পর্বতের দর্শন না হলেও শুধুমাত্র পর্বত দর্শনের জন্য হৃদয়টা উশখুশ করছিলো। দেবী পার্বতী শিবকে অন্ন দান করে দেবী অন্নপূর্ণা হয়েছিলেন বটে, কিন্তু আমার মত অর্বাচীনকে কে অন্ন দান করে হৃদয়ের ক্ষুধা মেটাবে! সে সময়টায় মন এতোটাই বিক্ষিপ্ত হয়ে ছিলো যে কোন কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না৷ উদ্ভ্রান্তের মত অন্তর্জালে ঘাটাঘাটি করে সন্ধান পেলার অন্নপূর্ণার সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব। সেজন্য যেতে হবে সুদূর নেপালে। আরও যে কয়েকটি তথ্য জানতে পারলাম তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো অন্নপূর্ণা সার্কিট। মানে অন্নপূর্ণাকে মাঝে রেখে তার চারিপাশ পরিভ্রমন করা। যেন অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী মানুষের তাকওয়াফ। সবাই যেতে যেতে পারলে আমি কেন নয়?

তবে যেকোন সময় চাইলেই তো যাওয়া সম্ভব নয়। যাওয়ার জন্য বছরে দুইটি সময় আছে। মার্চ-এপ্রিল অর্থাৎ বর্ষার আগে, যাকে বলা হয় প্রি-মনসুন অথবা বর্ষার পরে সেপ্টেম্বর - নভেম্বর বা পোষ্ট-মনসুন। কিন্তু পোস্ট-মনসুনের সময়টায় শীতর প্রকোপ বেড়ে যায়, তাছাড়া ডিসেম্বরের আগে আর কোন লম্বা বন্ধও নেই। তাই আসছে বছর মার্চ-এপ্রিলে যাবো ভেবে স্থির করলাম। এখন ভাবতেই অবাক লাগে কি পাগলাটে মস্তিষ্ক হলে এমন হুট করে এতবড়ো একটা পরিকল্পনা করা যায়? কিন্তু পাহাড়ের ডাকটাই এমন। পাহাড় যাকে হাতছানি দিয়ে কাছে টেনে নেয় তাকে হুট করেই করেই ডাকে। যেমন ভান্ডা রুটকিভিকজ, শুধুমাত্র দেখতে গিয়েই পাহাড়ের টানে, পাহাড়ের বুকজুড়ে চালিয়েছিলেন তার “ড্রিম অফ ক্যারাভান”।

এর আগে কখনো পাহাড় দেখিনি। দেখিনি মানে একদমই দেখিনি। দেখার মধ্যে ২০১০ সালে একবার সিলেটের চা বাগান দেখেছিলাম। ছোট ছোট পাহাড়। বাবা বলেছিলেন এগুলো পাহাড় নয়, এগুলোকে বলে টিলা। পাহাড় আছে চট্টগ্রামে, বান্দরবানে। এই জ্ঞান নিয়ে আমি মহা প্রতিম হিমালয়ে পাদচারণার স্বপ্ন দেখছি। কাগজের জগতে বাস করা আমার মত ঘরকুনো মানুষের কাছে এটাই এক বিরাট বিস্ময় বৈ কি! কিন্তু কি থেকে কি হলো জানিনা, ওই দিনের পর থেকে হিমালয় নিয়ে, পাহাড় নিয়ে সামনে যা কিছু পাচ্ছিলাম, গোগ্রাসে গিলেছিলাম।

বছর পেরিয়ে ২০১৭ আসলো। আমার মনে তখনও সাদা মনির মত জ্বল জ্বল করছে অন্নপূর্ণা। পরিকল্পনার কমতি নেই। পাসপোর্ট করালাম, অবসরে বিভিন্ন বই, ব্লগ পড়ছি, ছবি দেখছি, ম্যাপ দেখছি। কিন্তু চিরায়ত মধ্যবিত্ত সমস্যার মত আমার সমস্যা ঐ একটিই, টাকা নেই। তখন খুব সম্ভব ঢাকা-কাঠমাণ্ডু বিমান বাংলাদেশের টিকেটের দাম চলছিলো পনেরো হাজার টাকার কাছাকাছি। আমি যাবো এপ্রিলে। দুই-এক মাস আগে টিকেট করে রাখলে নাকি কম দামে টিকেট পাওয়া যায়। কিন্তু জানুয়ারী মাস শেষে আমার কাছে সম্বল পঁয়ত্রিশ’শ টাকা। টিকেটের টাকাই তো হবেনা। এরপর গিয়ে ২০ দিন কাটাবো কি করে? কিন্তু স্বপ্ন দেখার সবচেয়ে বড় সুবিধে হলো স্বপ্ন দেখতে টাকা লাগেনা। লাগলে দুনিয়ার শতকরা নব্বইভাগ মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভুলে যেতো।

অপদার্থ একটা ছেলেকে দয়া করে, ঘাম বেঁচে এত এত টাকা দিয়ে একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন, সেই বাবার কাছে নিজের অদ্ভুদ বেয়াড়া স্বপ্ন পূরণের দাবী করতে পারিনি কখনো। ফেব্রুয়ারী শেষে জমানো টাকার অঙ্কটা পাঁচ হাজার। পরের মাসে বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আট হাজার মিটার উঁচু পর্বতের সান্নিধ্য লাভের জন্য আটহাজার টাকার বেশি আর জোগাড় করতে পারিনি। এপ্রিল শুরু হয়ে চলে যায়, সেমিস্টার ব্রেক চলে আসে, কিন্তু অর্থ আর আসে না। বিমর্ষ হয়ে বসে থাকি৷ কিছু পড়াশুনা থাকায় জানতে পারলাম কাছেই ভারতের দার্জিলিংয়ের অদূরে সান্দাকফু নামে একটা যায়গা আছে, যেটা পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ চূড়া, এবং সেখান থেকে সাগরমাতাসহ হিমালয়ের অন্যান্য রথী মহারথীদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়৷ উপায়ন্তর না পেয়ে সেবারের মত গিয়েছিলাম ঘুমন্ত বুদ্ধের কোলে, জয়িতার খোঁজে। সে এক ভিন্ন গল্প।

আগেই বলেছিলাম পাহাড় যাকে হাতছানি দেয়, পাহাড়ের মায়া এড়ানোর ক্ষমতা তার থাকে না৷ সান্দাকফু থেকে ফিরে সবকিছু বদলে গেলো। ভাবলাম এপ্রিলে তো হলো না। ডিসেম্বরে একবার চেষ্টা করা যেতে পারে। থাকুক না হিম শীত। ঠান্ডায় মরে যদি যাই, জানবো স্বপ্নটা পূরণ হয়েছিলো। পরিকল্পনা তো করাই ছিলো। মাইনাস ২৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা, তিলিচো লেকসহ কিছু যায়গা তুষারের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পরিকল্পনায় যৎসামান্য পরিবর্তন আনা ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই। কাজ শুধু টাকা জোগাড় করা। কিছু যদি না করতে পারি শখের ক্যামেরাটাই না হয বিক্রি করে দিব৷ হলোও তাই। শেষ পর্যন্ত কোন অর্থের ব্যবস্থা না করতে পেরে প্রিয় ক্যামেরাটাকেই বিসর্জন দিলাম পঁচিশ হাজার টাকার বিনিময়ে। তখন বিমানের টিকেট ১৭০০০ টাকা। তারমানে আরও দশহাজার টাকার মত প্রয়োজন। পরিচিত, অর্ধ-পরিচিত, বন্ধু-বান্ধব যার কাছে পেরেছি টাকা ধার চেয়েছি পাগলের মত। কিন্তু ভাগ্যদেবতা এবারেও রুষ্ট হলেন বোধহয়। আর একটা কানাকড়িরও ব্যবস্থা হলো না। যে টাকা ছিলো সেটা নিয়ে চলে গিয়েছিলাম ভারতের উত্তরাখণ্ডের কেদারকান্থ পর্বতে।

আরও একটি নতুন বছর শুরু হলো। স্নাতকের শেষ বর্ষ। থিসিসের জন্য প্রচন্ড চাপ। মার্চ-এপ্রিল-মে তে কোন ছুটি নেই৷ শীতকাল ছাড়া আর কোন আশাও নেই। প্রতীক্ষার দীর্ঘ প্রহর গুনতে শুরু করলাম। অনেক গল্প নিয়ে থিসিস শেষ হতে হতে ডিসেম্বর হয়ে গেলো। থিসিসের পাশাপাশি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পার্ট টাইম চাকুরী নিলাম। আহামরি কিছু না। সপ্তাহে ২৫ ঘন্টা কাজ করতে হবে, মাস শেষে পাওয়া যাবে বারো হাজার টাকা। তিনমাস দাঁত চেপে করে যেতে পারলেই আর আটকায় কে? প্রতিবার অর্থের অভাবেই যখন স্বপ্নভঙ্গ হয়, তখন অর্থের সংকুলান করে তবেই পথে নামবো বলে সংকল্প নিলাম। ডিসেম্বর মাস শেষ। ইতিমধ্যে দুইমাসের টাকা জমিয়ে ফেলেছি ব্যাংকে তখন আবার সেই পঁচিশ হাজার টাকা। আর একমাস। বেতনটা পেয়ে যাবো, টিকেট করবো। প্রতিদিন টিকেটের দাম দেখি। ঊনিশ হাজারের কাছাকাছি ওঠানামা করে। হোক না! বাকি টাকায় ঠিক কাটিয়ে দিতে পারবো। এইতো সামনের মাসেই বেতনটা পেয়ে যাবো। ঠিক টিকেটটা করে ফেলবো। চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে যাবো অন্নপূর্ণা দর্শনে।

জানুয়ারীর শেষে পরিকল্পনা অনুযায়ী চাকুরির পর্ব শেষ করে বাসায় বসে দিন গুনছি বেতন পাবার। মেলা থেকে কিনে আনা মাটির ব্যংকটি যখন প্রায় ভরে ওঠে তখন একটা বাচ্চা যেমন করে সেটা প্রতিদিন কয়েকবার নেড়েচেড়ে দেখে, আমিও তেমনি করে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট চেক করি। এই বুঝি টাকাটা এসে গেলো।

ফেব্রুয়ারীর দশ তারিখ পেরিয়ে যায়, পনের তারিখ পেরিয়ে যায়, কিন্তু কোথায় বেতন, কোথায় টাকা? কোন উপায়ন্তর না পেয়ে শেষমেষ গেলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভাগীয় প্রধান স্যারের সাথে দেখা করলাম। তিনি বললেন- জানুয়ারী মাসে তো সেমিস্টার ব্রেক ছিলো তাই ঐ সময়টার জন্য মানবসম্পদ বিভাগ থেকে তোমাদের বেতন নিয়ে কিছু ঝামেলা করছে। বেতন দিতে চাচ্ছে না। বাকরুদ্ধ কাকে বলে আমি ওই সময়টাতে টের পেয়েছিলাম। বলতে চেয়েছিলাম- কিন্তু স্যার, আমাকে তো চলে যেতে বলেন নি। আমি তো কাজ করেছি। আমাকে রেখেছিলেন ল্যাব নেয়ার জন্য। কিন্তু সেমিস্টার ব্রেকে ল্যাব না থাকায় অন্য কাজ করিয়েছেন। ক্যাম্পাস শিফট হওয়ার জন্য এক বিল্ডিংয়ের কম্পিউটার গুলোকে টেনে টেনে নিয়ে গিয়েছি অন্য বিল্ডিংয়ে। সেখানকার ল্যারের সব ধুলো জমা টেবিল পরিষ্কার করে কম্পিউটার বসিয়েছি রাত বারোটা পর্যন্ত। কিসের জন্য একটা গ্রাজুয়েট ছেলে এসব করবে? কারণ ঐ বারো হাজার টাকা। আমি টিকেট কাটবো। আমি অন্নপূর্ণা দেখবো। কিন্তু আমার কিছুই বলা হয়নি৷ যে বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শিখিয়েছিলো ইথিক্স, তার কাছ থেকে এমন প্রতিদানের ধাক্কাটা সামলে কিছুই বলতে পারিনি। আমার সে বছরও আর যাওয়া হয়নি।

এরপর সময় কেটে গিয়েছে। অন্নপূর্ণা হিমবাহ গলে বহু জল মদি খোলা নদী দিয়ে বয়ে গেছে। অভিমান বুকে চেপে দেশ ছেড়ে এসে আস্তানা গেড়েছি আট হাজার কিলোমিটার দূরের জার্মানীর এক ছোট্ট শহরে। এখানে এসেও পড়াশুনার পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকুরী নিয়েছিলাম একটা রিসার্স ইনিস্টিটিউটে। সপ্তাহে দুইদিন অফিসে যেতে হয়। সেই অফিস থেকে আজ সকাল প্রথম বেতন পেলাম। বেতন পেলে টিকেট করতে হবে এই ধারণাটা অবচেতন মনে কোথাও বোধহয় খোদাই করা ছিলো। তাই নিজের অজান্তেই টিকেট দেখতে গিয়েছিলাম। দেখলাম বার্লিন থেকে কাঠমুন্ডুর বিমানের টিকেট কিনে, অন্নপূর্না সার্কিট ঘুরে আসলেও আমার বেতন পুরো শেষ হবেনা। কিন্তু আফসোস আমি ২০ দিন সময় আর কখনও হয়ত একত্র করতে পারবো না৷ এবং এই আফসোসটুকু নিয়েই একদিন টুপ করে হারিয়ে যাবো।

পাহাড়ের সাথে আমার দেখা হয়না সহস্রাব্দ ধরে। শুধু মাঝে মাঝে নিদ্রহীন আড়ষ্টতায় তার বিচরণ উপলব্ধি করি ঋজু আর জীর্ণ নিউরনজুড়ে। কখনো পাইনের বুক বুক চিরে আসা হিম শীতল বাতাস স্তব্ধ করে দেয় হৃদস্পন্দন, আশ্বিনের বিকেলে তার শেষ ডাকটা এখনও কানে বাজে উত্তুঙ্গ নির্ঝরিণীর প্রলয়কারী ধ্বনিরূপে, কান্না লুকোনো আঁখিযুগল এখনও সামনে ভাসে রডোডেনড্রনের লাল আভা হয়ে। জীবনটাকে গুছিয়ে ফেলার তাগিদে কখন যে গুটিয়ে ফেলছি টেরই পাইনি।


লেখাটা লিখেছিলাম ২০২০ সালের প্রথম দিকের কোন এক সময়ে। ক্রিসমাসের লম্বা ছুটি বাসায় বসে পুরনো ডায়েরি আর জার্নালগুলো ঘেটেঘুটে দেখতে গিয়ে লেখাটা পেলাম। পাহাড় ভাগ্যবানদের হাতছানি দেয়। আমি বোধহয় এতটাই অভাগা হয়ে গিয়েছি যে পাহাড় আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সে আর আমাকে হাতছানি দেয় না। কিন্তু আমি জানি আমি কখনোই পাহাড়ের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিইনি। আমি ফিরে আসবো। জীবন কিনে ফেলবো।


ছবিঃ Unsplash থেকে সংগৃহীত।

Related

মহীনের ঘোড়াগুলি ঘাস খায় নাকি গান গায়?
·3 মিনিট
মম কথন হিজিবিজি পরবাস
পরজীবী
·4 মিনিট
মম কথন হিজিবিজি পরবাস
অক্টোবরের রাত…
·3 মিনিট
হিজিবিজি পরবাস