অস্তগামী সূর্যের তির্যক আভায় আকাশের সাদা টুকরো টুকরো মেঘগুলো রক্তবর্ণ ধারণ করেছিল তখন। মেহদী দেয়া সাদা দাড়ির মত কিছু খুচরো মেঘ পাহাড়্গুলোর গায়ে গায়ে ঝুলছে। নাকের ডগায় কোন সাড় নাই। দাঁড়িয়ে থাকতেও বেশ কষ্ট হচ্ছে। ইয়োগেন বলল এইতো আর একটু। তার পরিচিত একটা লজ আছে। গিয়েই বিশ্রাম নিতে পারবো। দূর থেকে দেখা টুমলিং এর সৌন্দর্য্য হাঁটায় যেন নতুন উদ্যোম এনে দিয়েছিলো। মিনিট বিশেকের মাঝেই বিকাল চারটার দিকে টুমলিং পৌঁছে গেলাম।

একটু আগে আকাশ যেটুকু পরিষ্কার ছিলো এখন আর সেটাও নেই। কুয়াশা উঠে আসছে নিচের খাদ বেয়ে। সমতল একটা পাহাড়ের কোলে এই গ্রাম। বস্তুত হাওয়া যেদিক দিয়ে তেজী হয়ে আসে সেদিকটাই পাহাড় আটকে রেখেছে। টংলুর দিকটা। টংলু থেকে আসা রাস্তাটাও এসে মিলেছে এখানে। এতোকিছু এখন ভাবার সময় নেই। শরীরটাকে এখন একটু বিছানায় এলিয়ে না দিলেই নয়। ইগোয়েনের পরিচিত হোটেলে উঠলাম গিয়ে। আমাদের ছয়জনের জন্য তিনটি খাটের একটা রুম। প্রতি খাটে দুইজন করে। এখানকার বাসাগুলোর সবচেয়ে ভালোলাগে যে জিনিসটা তা তলো বেশ সাজানো-গোছানো। কোন চাকচিক্য নেই। নেই

কোন কৃত্রিমতা। কাঠ দিয়েই বানানো সাধারন রুমগুলোও যে এতটা সুন্দর করে সাজানো যেতে পারে না দেখলে বিশ্বাসই করতে ইচ্ছে হয় না। তার উপরে প্রায় প্রতিটি রুমেই আছে নানা রাকুকাজ করা মাটির তৈজসপত্র, দেয়ালে ঝুলছে সস্তা কিন্তু চকচকে ছবির ফ্রেম। জানালার কাঁচের সাথে ঝুলছে রং বেরং এর বুনো ফুলের টব। এতোটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম যে ফ্রেশ হবার প্রয়োজনটুকু বোধ করিনি। রুমে ঢুকেই সটান হয়ে বিছানায় পড়ে গেলাম। মিনিট না ফুরোতেই তলিয়ে গেলাম গভীর ঘুমে।

ঘুমিয়ে থাকলেও অবচেতন নার্ভগুলো বোধহয় সচেনতই ছিলো। তাদের ঘোর লেগে আছে পাহাড়ের মায়ায়। খুব বেশী ঘুমোতে দিল না তারা। ঘুম ভাঙলো ঘন্টাখানেকের মধ্যেই। শরীরজুড়ে কয়েকটি লেয়ার থাকায় শরীরে তেমন কিছু মনে হলো না। কিন্তু সারা মুখজুড়ে কাঁদা আর বালি কিচকিচ করছে। ফ্রেশ হতে গেলাম। ওয়াশ রুমে ঢুকে চোখ চড়কগাছ! বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়েই যে দৃশ্য চোখে পড়ছে বাইরে না জানি কি অবস্থা। যতদূর চোখ যায় উচু-নিচু পাহাড়, তার উপরে অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা। চোখ ফেরানো দায়। মুখে পানি লাগাতেই পেরেক ফোটানোর মত যন্ত্রনা হলো। কেউ যেন ধারালো ছুড়ি দিয়ে কুচি কুচি করে কাটছে গালটাকে। কোন সাড় নেই। কোন রকমে মুখের বালি ধুয়ে বাইরে বেড়িয়ে আসলাম।

বাইরে বেড়িয়েও দেখি উৎসবের আমেজ। আমাদের গ্রুপের বাকি পাঁচজনও ইতিমধ্যে বাইরে বেড়িয়ে এসেছে। সবাই ফুটবল খেলা দেখতে যাচ্ছে। একটু সামনেই একটা ফুটবল মাঠ আছে। এই পান্ডববর্জিত জায়গায় ফুটবল খেলা! তাও আবার এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায়? একটা আঘাত পেলে কি অবস্থা হবে? বেশ একটা উৎসাহ নিয়েই ফুটবল খেলা দেখতে গেলাম। আসলেই তো। প্রায় পনের-বিশ জন মিলে খেলতে নেমেছে। তাদের দলে দেখি আমাদের গাইড মহাশয়ও আছে। সবার গায়ে ফিনফিনে পাতলা একটা কাপড়। আমি দাঁড়িয়ে থাকতেই যেন হিমালয়ের নিশ্বাস ঘাড়ে এসে লাগছে আর এরা সব উপেক্ষা করে এসব করছে! অবাক হতেই যায়। যারা খেলছে তারা মোটামুটি সবাই স্থানীয়, নেপালি। কাটা তরমুজের মত গাল, নোংরা পোশাক আর সমস্ত শরীরে যেন অভাব খোদাই হয়ে আছে। অথচ ঠোটে হাসি নিয়ে এই হাড় কাঁপানো শীতেও ফুলবল খেলতে তাদের উৎসাহের কোন কমতি নেই।

আমার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই ইংরেজ ট্রেকারও দেখি বেশ মজা করে ফুটবল খেলা দেখছে। কোথাও গেলে নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হওয়াটা আমার শখ বলা যায়। কথায় কথায় বেশ গল্প জুড়ে দিলাম তার সাথেও। বয়স ত্রিশের কোঠায়। ছিপছিপে লম্বা শরীর। পেশায় সফটওয়্যার ডেভলপার। সামার ভ্যাকেশনে ইন্ডিয়া বেড়াতে এসেছেন। গত প্রায় একমাস ধরে ঘুরে বেড়িয়েছেন দিল্লী, আগ্রা, কাশ্মীর, লাদাখ, দার্জিলিং। এটাই শেষ। সান্দাকফু থেকে ফিরে দেশে চলে যাবেন। বেশ খাতির হয়ে গেলো তার সাথে।

এখন হাওয়া নেই, রোদও নেই। সূর্যের পশ্চিম দিকে পাহাড়ের খাঁজে একটা ঘোলাটে মেঘ আটকে আছে শুধু। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। খেলা শেষ। সবাইকে সহ ফিরে আসলাম হোটেলের ডাইনিং এ। শরীর যেভাবে অবশ হয়ে আসছে তাতে একটু চা পেলে মন্দ হতো না। আমাদের ছয়জন সাথে সেই ইংরেজ মোট সাতজনের জন্য চা নিয়ে আসলাম। ধোঁয়া ওঠা গরম চা। কিন্তু প্রথম চুমুক দিয়ে পরের চুমুক দেয়ার আগেই সে চা পানি হয়ে গেল। চায়ের সাথে আড্ডাটা খারাপ যায় না। কিছুক্ষন চুপচাপ। সে নিরবতা ভাঙ্গল বিদেশী সাহেবই। সে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা পোষণ করেছে। বেশ, জমে গেল আড্ডা। নানা ধরনের খুঁটিনাটি তথ্য দিচ্ছি আর ব্যাটা দেখি অবাক হয়েই যাচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবন থেকে শুরু করে কান্তজিউ মন্দির, ষাট গম্বুজ মসজিদ বাদ দিলাম না কিছুই। দীর্ঘ এক ঘন্টার আড্ডা শেষে সবাই রুমে ফিরে গেলো।

চারপাশে যেন ভয়ংকর এক নিরবতা নেমে এলো। সারাদিন পরে এই প্রথম বাসার জন্য একটু মন কেমন কেমন করতে লাগলো। সাবাই উঠে যাওয়ার পরে বাইরে বেড়িয়ে আসলাম হোটেলের। মনে হচ্ছে মহাকাল জুড়ে আঁধার নেমেছে। চারিদিকে কেমন যেন এক অসংজ্ঞায়িত বাস্তবতা। পরিবারের জন্য আড়ষ্ঠতা। অপেক্ষা যেন এখন নিজেই অপেক্ষেয়মান। ফোনে নেটওয়ার্ক খুঁজছি। পাচ্ছি না। ইয়োগেনকে খুঁজলাম যদি কোন তথ্য পাই। সে ই দেখিয়ে দিলো। টুমলিং থেকে যে রাস্তাটা গৈরীবাসের দিকে চলে গিয়েছে তার খাদে নামলেই মিটার দুয়েক জায়গায় শুধু নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় মাত্র। কিন্তু কল দিতে গিয়ে মনে পড়ল সেই যে ব্যালেন্স শেষ করেছিলাম তারপরে তো আর রিচার্জ করিনি।

প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে ভাবতে লাগলাম। কিছুই করার নেই। ইয়োগেনকে জিজ্ঞেস করেও কোন লাভ হলো না। এই পান্ডব বর্জিত যায়গায় রিচার্জ করার কোন উপায় নেই। তবে সে জানালো হোটেলের ফোন থেকে ফোন করা যায়। মিনিট পঞ্চাশ রুপি করে। বাসার সবার জন্য এতোটাই ব্যাকুল হয়ে পড়লাম যে তাও রাজি হলাম। কিন্তু এখানেও বিধাতা বিমাতা সুলভ আচরণ করলেন। হোটেল থেকে শুধু ইন্ডিয়া আর নেপালে ফোন করা যায়। শামীম ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম। সেও মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল তার ব্যালেন্স তো মানেভাঞ্জনেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

আমি বরাবরই একটু বাবা-মা ঘেষা। পরিবার থেকে বাইরে থাকি আজ প্রায় ৫ বছর। কিন্তু এমন একটা দিনও যায়নি যেদিন আম্মুর সাথে বা বাবার সাথে কথা হয়নি। আজ সেই নিয়মটা ভেঙে যেতেই কেমন জানি অবসন্ন লাগছে। চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে কান্না করতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু তাতে লাভ? এতো হাজার মাইল দূরে থেকে সে চিৎকারতো আর আমার মায়ের কানে পৌঁছাবে না। পাহাড়ের খাদে পা ঝুলিয়ে বসে রইলাম কতক্ষন হিসেব নেই। ভরা চাঁদের জোৎসাটাকেও কেমন জানি বিষাদগ্রস্থ, নেশাগ্রস্থ লাগছে। এখানে আর বসে থাকা নিরাপদ মনে করছি না।

চুপচাপ এসে হোটেলের লবিতে বসে ছিলাম। এই যান্ত্রিক নগরে বসে এগুলো লেখার সময় হাসি পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সেই সময়ের সেই মুহূর্তগুলো মোটেই স্বস্তিদায়ক ছিলো না। বাসার সবার মুখগুলো পানিজমা ঝাপসা চোখে ভেসে উঠছে বারে বারে। বিশেষত আম্মুর মুখটা। টুমিলিং এ নেটওয়ার্ক নেই। সামনে তো থাকবেই না আগে থেকেই জানি। তারমানে আরও ৪-৫ দিন মোটামুটি নেটওয়ার্কের বাইরে থাকতে হবে। আর এটা বাসায় কাউকেই জানানো হয়নি। আমাকে বিয়ে আম্মুর ভয়ের কোন শেষ নেই। কোন মতে যদি শুনত যে ইন্ডিয়া, নেপাল সীমান্তে বারোহাজার ফুট উচ্চতার নেশায় এসেছি, তাও একা একা তবে কখনই আসতে দিতো না। তাই মিথ্যে বলে এসেছিলাম যে ভার্সিটি থেকে যাচ্ছি দার্জিলিং। আমার আম্মুকে আমি চিনি। এতোদিন যদি না জানিয়ে লাপাত্তা হয়ে থাকি সে নিশ্চিত পাগল হয়ে যাবে। আর সেই চিন্তায় এখন আমিই পাগল হচ্ছি।

কতক্ষন এভাবে ভাবছিলাম জানি না। ভাবনার সুতোয় টান পড়ল সাইরাজের ডাকে। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতে সব খুলে বলার পরে বলল, সকালে যখন গাইডের খোঁজে গিয়েছিলাম তখন নাকি শামীম ভাই ফোনে টাকা রিচার্জ করেছিলো। শুনেই রাগে, ক্ষোভে নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছিলো। শামীম ভাইকে যখন আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম তখন দিব্যি অস্বীকার করে গেছে। কিন্তু এখন মাথা গরম করলে চলবে না। শামীম ভাই ওয়াশরুমে গিয়েছে। সেই ফাঁকে তার ফোনটা একরকম ছিনিয়ে নিয়েই বলা যায় এক দৌড়ে সেই পাহাড়ের খাদে চলে গেলাম। ফোনে আসলেই ব্যালেন্স আছে দেখে সুখ আর রাগের মিশ্র অনুভুতি নিয়ে বাসায় ফোন দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম।

খুব বেশী না মাত্র ২-৩ মিনিটের মাঝেই আম্মুকে সব বুঝিয়ে বললাম যে আগামী ৩-৪ দিন নেটওয়ার্ক পাবো না। তাই কোন যোগাযোগ নাও হতে পারে। সময় সুযোগ বুঝে সব আপডেট জানাবো। মাত্র দুই-তিন মিনিটের ব্যাবধানে সব অবসন্নতা কোথায় যেন মিলিয়ে গেল। দু’পাশে পাহাড়, চারপাশের নিরব, নিঃসাড় নির্জনতা অনন্তে ছড়ানো। দেখলে মনে হয় পৃথিবীতে কোথাও কোন মানুষ নেই। জমাট বাধা অন্ধকার জোৎসনার আলোতে মাখামাখি হয়ে দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে আছে। সেই দেয়াল ভেদ করে যেন কোন এক অপার্থিব সুখ মনে সুড়িসুড়ি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শামীম ভাইয়ের উপরে ক্ষোভটা না গেলেও তাকে দিয়েই শেষ একটা উপায় তো হয়েছে ভেবে নিজেকে শান্ত করলাম। কিছু না বলেই ফোন জায়গামত রেখে আসলাম আবার। আর দরজা খুলে জোৎসামাখা ঘোলাটে আকাশটাকে দেখতে দেখতে এসব চিন্তার বাইরে বেড়িয়ে এলাম।

গম্ভীর মেজাজের মেঘগুলো যেন নাকের ডগায় ঝুলছে এখানে ওই আকাশটা এতোটা কাছে যেন হাত বাড়ালেই নাগাল পাওয়া যাবে। মেঘের উপর চাঁদের আলো পড়ে কেমন এক ঘোরলাগা তৈরী করছে। নিচের খাদ থেকে ভুরভুর করে উঠে আসছে রাশিরাশি মেঘ। পরক্ষনেই মিলিয়ে যাচ্ছে দূর আকাশে। কিন্তু পেছনের দিকে, যেদিকে পূর্ণ চাঁদ তার সৌন্দর্য্য বিকশিত করছে সেদিকে বিন্দুমাত্র মেঘ নেই। ঝকঝকে আকাশ, খয়েরী পাহাড়ের বুকে আছড়ে পড়ে মায়াময়তা সৃষ্টি করছে। এমনি করেই বেশ ক্ষাণিকক্ষণ যেন একটু আগোছালো। তারপরই খেয়াল হলো। বাতাসের শব্দ নেই কিন্তু মনে হচ্ছে নাক অসাড় হয়ে গেছে। ওটা যে আছে এমন অনুভুতিও নেই। তাও আপাদমস্তক ঢেকে বাইরে সিঁটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম।

এভাবে কতক্ষন ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম মনে নেই। একসময় এসে ইয়োগেন রাতের খাবার খেতে ডেকে নিয়ে গেলো। একদম সাধাসিঁধে খাবার। ভাত, ডাল, ডিম আর সবজি। সাথে পাপড় ভাজা। হাই অল্টিচুডে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সবই নন-ভেজ। খেতে খেতেই পরদিনের প্লান সাজাচ্ছিলাম। সকাল আটটার মধ্যে বেড়িয়ে পড়লে বিকেলের বেশ আগেই কালাপোখারি পৌছে যাবো। সেখান থেকে সান্দাকফু আর মাত্র নয় কিলোমিটার। কালাপোখারি পর্যন্তই হবে আগামী দিনের গন্তব্য। আর সকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলে, তীব্র বাতাস অবাধ্য মেঘেদের সরিয়ে দিলে টুমলিং থেকেই সকাল দেখা যাবে রূপবতী কাঞ্চনুজঙ্ঘাকে। কিন্তু ইতিমধ্যে যেভাবে মেঘ জমতে শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে আগামীকাল সে আশায় নিরাশার বালি পড়বে।

খাওয়া শেষ করতে করতে প্রায় সাড়ে নটা বেজে গেলো। ততক্ষনে প্রায় পুরো টুমলিং ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু বাইরের অপার্থিবতা আমাকে হোটেলের রুমে কিছুতেই বসে থাকতে দিচ্ছে না। রাত আর মেঘ বাড়ার সাথে সাথে ঠান্ডাটাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তাও জোৎসাস্নান করতে বাইরে বের হয়ে এলাম। পাহাড়ের খাদে পা ঝুলিয়ে বসে অরাধ্য মেঘেদের খেলা দেখছিলাম যতক্ষন পর্যন্ত না ঠান্ডা কাবু করে ফেলতে পারে। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে চোখে ঢুলুঢুলু ভাব চলে আসল। আগামীকাল আবার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। শরীরটাকে আর বেশী চাপ না দিয়ে শরীরে কাঁপুনি নিয়ে রুমে এসে আর একটি শিশির জমাট বাঁধা শুভ্র-নীল সকালের স্বপ্ন চোখে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।


জয়িতার খোঁজেঃ সান্দাকফু-ফালুট – ৮